প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির যা দরকার

ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী
Published : 26 July 2010, 02:17 PM
Updated : 26 July 2010, 02:17 PM

বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে অনেক দিন থেকে। উচ্চশিক্ষার হাল-হকিকত নিয়ে অনেক কলাম লেখা হয়েছে। 'বিশ্ববিদ্যার আলয়' বনাম 'বিশ্ববিদ্যার লয়' এমন সব বিতর্কের সূত্রপাতও আমরা শুনেছি-পড়েছি। এইসব বিতর্ক কিছুটা দুভার্গ্যজনক একারণে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আমরা যা আশা করি তার তুল্য রিসোর্স আমরা সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেই নি। অন্তত আমরা হয়ত মনে করেছি যথেষ্ট টাকা-পয়সা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আসলে সেগুলো পর্যাপ্ত নয়।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট একটু খুঁটিয়ে দেখলে খুব পরিষ্কার দেখা যাবে যে বাজেটের একটা বড় অংশ যায় বেতন-ভাতাদি ও পেনশন খাতে। উন্নয়ন বা গবেষণা খাতে বরাদ্দ খুবই কম। এত সংক্ষিপ্ত বাজেট দিয়ে তো মান-সম্পন্ন গবেষণা চালানো সম্ভব নয়। একটা উদাহরণ দিই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকা বার্ষিক গবেষণা অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এই প্রকল্পের আবেদন ফর্মে জানতে চাওয়া হয় এই প্রকল্প "মানবজ্ঞান বৃদ্ধিতে" কী অবদান রাখবে। এক লক্ষ টাকা দিয়ে কি মানব জ্ঞান বৃদ্ধি করা সম্ভব? এখন কি আর সেদিন আছে? এখন তো 'বিগ-সায়েন্স' এবং 'কোলাবোরেটিভ রিসার্চের' যুগ।

এখন একাধিক গবেষণা-গ্রুপ মিলিত হয়ে অভিন্ন লক্ষ্যে গবেষণা করে। সে ধরনের সুযোগ কি এই বাজেট দেয়? এ ধরনের ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি ইন্টার-গ্রুপ ইন্টার-ডিপার্টমেন্ট গবেষণার আবহই আমাদের দেশে নেই যেটা এখন আন্তর্জাতিক মানের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মূল ভিত্তি। অথচ আমাদের দেশে এখনো মাষ্টার্স ও পিএইচ.ডি ছাত্ররা নিতান্ত নিজের গরজে গবেষণা করছে। ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মুষ্টিমেয় হাতে-গোনা ছেলেমেয়েরাই আগ্রহী হয়। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, গত দেড়বছর যাবৎ বিজ্ঞপ্তি দিয়েও আমি স্নাতকোত্তর গবেষণার উপযুক্ত ছাত্র-ছাত্রী পাই নি। শুনেছি মাষ্টার্স ও ডক্টরেট প্রার্থীর জন্য স্টাইপেন্ড মাত্র পাঁচ হাজার ও আট হাজার টাকা যথাক্রমে। যদি সদ্যপাশ করা একজন প্রকৌশল-ছাত্রকে পনেরো থেকে বিশ হাজার টাকা দেওয়া যায়, তাহলে তাদের অনেকেই উচ্চতর গবেষণায় আগ্রহী হবে। এই অর্থ-বরাদ্দ যদি দেওয়া সম্ভব হয়, তবে আমি বাজী ধরে বলতে পারি, গ্রামীণফোন বা রবি'র আকর্ষণীয় জব-প্যাকেজ ছেড়ে আমাদের অনেক মেধাবী ছাত্রই বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে যাবে।

বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে স্বেচ্ছা-শ্রম হিসেবে উচ্চতর গবেষণাকে যে আর কেউ বেছে নেবে না সেটা বোঝা উচিত। তরুণ প্রজন্মের সামনে এখন 'চয়েস' যেমন অনেক, 'অপশনও' অনেক। তাই সঠিক আর্থিক প্রণোদনা না থাকায় দেশীয় মেধাকে ঠিকমতো কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এই একই মেধা উন্নততর জীবনের আশায় 'আশার ছলনে ভুলি' বিদেশ চলে যাছে। কি নিদারুণ পরিহাস যে আমাদের অনেক যত্নে, অনেক কষ্টে, সরকারী টাকায় যে মানব-সম্পদটি ১২+৪ বছরের সুকঠিন লেখাপড়ার পর ঠিক যখন ফলপ্রদানের সময় হলো, তখন সে বিদেশে ! চকচকে পশ্চিমা সমাজে সে তার সবটুকু মেধা-সম্পদ ঢেলে দিল। হায় এই পোড়া দেশ!

"গবেষণা/উন্নয়ন" খাতে সরকারের এমন একটা বরাদ্দ থাকা উচিৎ যাতে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সকল শিক্ষক দুই থেকে পাঁচজন পূর্ণকালীন গবেষণা-ছাত্র সম্মানজনক বেতনে নিয়োগ দিতে পারে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতাও থাকবে। আবার এই প্রণোদনার ফলে মাধ্যমিক স্তর থেকেই শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠবে। এখন আমরা জানি যে বিজ্ঞান-শিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমেই অধোগামী। এই অধোগতিকে উল্টোপথে চালাতে হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে একটা কিছু আদর্শ বা উদাহরণ বা প্রেরণাদায়ক কোনোকিছু না রাখলে এরা প্রেরণা পাবে কোত্থেকে ? কাজেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, অন্ততপক্ষে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে, যদি এভাবে আকর্ষণীয় প্রণোদনার ব্যবস্থা রেখে দেশীয় গবেষকদেরকে গবেষণার দিকে টেনে আনা যায়, তবে উচ্চতর ও গবেষণার দেশীয় ধারাটি বজায় রাখা সম্ভব হবে।

ইদানিং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির একটা সরকারী উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। বেশ কিছু নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আয়োজিত এক সভায় দেখানো হয়েছে যে যে-হারে শিক্ষিতের হার বেড়ে চলেছে, তাতে আগামী ২০২৫-৩০ সাল নাগাদ উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিনগুণ হবে। তখন আরো প্রায় বিশ/ত্রিশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার হবে এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে জায়গা দিতে। কাজেই এখন থেকেই সরকার এগুচ্ছে। অচিরেই অনেক দক্ষ শিক্ষক ও শিক্ষা-সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে এবং এই সংক্রান্ত সম্পদ তৈরীর লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।

শোনা যাচ্ছে, গাজীপুরে হবে একটি 'ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়'। এই নামের মানে কী, তার অভিলক্ষ্য কী, তা অবশ্য আমরা জানি না। যা হোক, তবে পত্রিকান্তরে পড়েছি এই 'অত্যাধুনিক' বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে অগ্রগণ্য একজন স্বনামধন্য অধ্যাপকের এই সংক্রান্ত ধারণাপত্রটি। এখানে অনেকগুলো সুপারিশ করা হয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়িত হলে এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টি নিঃসন্দেহে এশিয়ার মধ্যে নাম করতে পারবে। যেমন পেরেছে কোরিয়ার কাইস্ট, সৌদি-আরবের কাউস্ট, ভারতের আইআইটি, সিঙ্গাপুরের এন.ইউ.এস, ইরানের শরীফ, তেহরান ও আমির কবীর ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি। ঐ ধারণাপত্রটিতে বলা হয়েছে প্রবাসী বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের নিয়ে এসে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান করা, তাঁদের দিয়ে পড়ানো, গবেষণা চালানো ইত্যাদি।

প্রবাস জীবনে হাঁড়ভাঙ্গা খাটুনি এবং প্রবল মনের জোরে অনেক প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে তবেই আমাদের দেশীয় মেধাবীরা বিদেশে স্থান করতে পেরেছেন। তাঁদের সেই কঠোর সংগ্রাম সত্যিই তুলনাহীন। ভাবতে সত্যিই গর্ব হয় যে এই দেশের সোনার ছেলেরাই এক-একজন প্রয়াত ফজলুর রহমান খান হতে পেরেছেন। দেশের সন্তানদের অনেকেই আজ বিশ্বের বিভিন্ন কোনে বিভিন্ন নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালযের বরেণ্য অধ্যাপক হয়েছেন, এমনকি প্রেসিডেন্টও হয়েছেন। কিন্তু আমি জানি, এঁদের অনেকের অন্তরই বাংলার জন্য কাঁদে। বিদেশে থাকতে দেখেছি অবসর সময়ে তাঁরা কেমন দেশের চিন্তায় মশগুল থাকেন। কিন্তু একথাও ঠিক তাঁদের কঠোর সংগ্রামের একটা আকর্ষণীয় উদ্দেশ্যে ছিল বা একটা স্ট্রং ইনসেন্টিভ ছিল, যে পশ্চিমের সমাজে জায়গা করে নিতে হবে। এটা কিন্তু শুধু স্বেচ্ছাশ্রম ছিল না।

উন্নত দেশের উন্নত অভিজ্ঞতায় তাঁরা ঋদ্ধ সন্দেহ নেই। প্রবাসী অধ্যাপকদের এনে পড়ানো খুবই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত, তাঁদের দিয়ে গবেষণা করানো আরো ভালো উদ্দ্যোগ। আরো ভালো হয় যদি প্রবাসী অধ্যাপকরা নিজ দায়িত্বে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথ গবেষণার উপায় করে দেন। কিন্তু তাই বলে একেবারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান করে দিতে হবে ? সেরকম যোগ্যতা কি আমাদের দেশীয় অধ্যাপকদের মধ্যে নেই ? এটা কি আমাদের দেশীয় অধ্যাপকদের কাছে বিরূপ বার্তা পৌঁছে দেয়না ? এমন করলে তো বিদেশ থেকে আর কেউ সহসা ফিরতেও চাইবে না, কারণ ফিরে লাভ কী ? একবারে বৈদেশিক সুধাবারী পান করে, বিদেশে থিতু হয়ে তবে একটু দেশের দিকে নজর দিলেই তো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হওয়া যাবে ! এমন সুন্দর প্যাকেজ আর ভাবাই যায় না !

সমস্যাটা এই যে এমন সুন্দর প্যাকেজ শুধু প্রবাসীদের জন্যই প্রযোজ্য। দেশী গবেষকরা ইত্যবসরে পেনসন-ভাতা বাড়ানোর ব্যাপারে ব্যস্ত হতে পারেন। কারণ দেশে বসে বসে পঁচন ছাড়া তাঁদের আর গত্যন্তর নাই। অথচ এমন আকর্ষণীয় প্যাকেজ যদি তাঁদের জন্য করা যেতো, তবে ঐ সুদূরের বিদেশ-পানে তাকানোর প্রয়োজনই পড়ত না। কিন্তু কে শোনে কার কথা ! আমার শ্রদ্ধাস্পদ সিনিয়র এক শিক্ষক বলছিলেন যে আমরা (বিদেশে উচ্চ শিক্ষা/গবেষণান্তে) যতক্ষণ না দেশে আসি ততক্ষণই আমাদের দাম, যখনই দেশে এসে যোগদান করি, তখন আর কেউ পোঁছে না। এই মনোবেদনার পেছনে একটা গভীর সামাজিক বেদনা লুকিয়ে আছে। 'ভাড়া-করা প্রবাসী' দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালালে ক্রমবর্ধমান সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। ভাড়াটে শিক্ষক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর কেমন অবস্থা হতে পারে সেটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান পর্যালোচনা করলেই বোঝা যায়। সেই সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ই আজ প্রতিষ্ঠিত যারা নিজস্ব পূর্ণ-কালীন শিক্ষক নিয়োগ দিতে পেরেছে।

তাই ভালো হয় যদি আকর্ষণীয় আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করা যায়, এবং এখন থেকেই শুরু করা উচিত, অনেক দেরী হয়েছে; আর নয়। যেমন – ১) গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে মাস্টার্স/পিএইচ.ডি ফেলোশিপের সংখ্যা ও টাকার মান বাড়িয়ে, ২) শিক্ষকদের বেতন কাঠামো ভারত-পাকিস্তানের অনুরূপ করতে (ভারতে পিএইচ.ডি ছাত্র মাসে প্রায় ১৯,০০০ রুপী পান!), ৩) যথেষ্ট কোলাবোরেশনের বা গবেষণার যৌথ ব্যবস্থা করে, ৪) অত্যাধুনিক ইকুইপমেন্ট কেনার ব্যবস্থাদি সহজ করে (বর্তমান ক্রয়-বিধিমালা মোটেও গবেষণা-বান্ধব নয়)। এসব ব্যবস্থা নিলে আগামী দশ বছরের মধ্যে আমাদের উচ্চশিক্ষার মান অনেক বাড়বে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমরা যদি আমাদের দেশীয় মেধা-সম্পদকে ভালোভাবে উন্নয়ন না করি, উত্তমরূপে ব্যবস্থাপনা না করি, তাহলে ঐ প্রবাসী মেধার উপরই ভরসা করে থাকতে হবে।

এই মুহুর্তে সরকার চাইলে একের পর এক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারেন, কিন্তু তার জন্য যোগ্য শিক্ষক কোথায় ? ঢাকার বুয়েটে অনেক যোগ্য শিক্ষক আছেন, কিন্তু তারা ঢাকা ছেড়ে নড়বেন না। আর আমাদের পূর্বতন বি.আই.টি (এখন কুয়েট-রুয়েট-চুয়েট-ডুয়েট) গুলোতেও অনেক যোগ্য শিক্ষক আছেন। কিন্তু তাঁদের অনেকেই আজকাল ঢাকামুখী, কারণ ঢাকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের লোভনীয় হাতছানি। তারপরও বলা যায় প্রযুত্তি বিষয়ে ডক্টরেট-ডিগ্রিধারী যোগ্য শিক্ষক নতুন গজানো প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল। দেশীয় সম্পদ উন্নয়নের উপরোক্ত ধারায় উপযুক্ত শিক্ষকও তৈরি করা যাবে, যাঁরা অচিরেই দেশীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রযু্ক্তি-শিক্ষার হাল ধরবেন। স

রকারী চিকিৎসকদের ঢাকার বাইরে চিকিৎসা দেয়ার যেমন অনেক প্রণোদনা থাকে, তেমনই সম্মানজনক প্রণোদনা ঢাকার শিক্ষকদের জন্য চালু করা যেতে পারে। মধ্যপ্রাচ্য-মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া-উত্তর আফ্রিকায় আমাদের শিক্ষকদের চাহিদা আছে। এইসব অঞ্চলে আমাদের শিক্ষকদের পর্যায়ক্রমে প্রেরণ করা যেতে পারে ('শান্তিমিশনে'র অনুরূপে 'শিক্ষামিশন ! )। এসব প্রণোদনার ব্যবস্থা না করেই, দেশীয় শিক্ষকের হাত উন্নত না করেই, উন্নত প্রবাসী বিজ্ঞানীদের হাতে দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়া সমীচীন হবে না বলেই আমার বিশ্বাস। একে তো তাঁরা দেশীয় প্রেক্ষাপট থেকে দীর্ঘদিন বিযুক্ত, উপরন্তু দেশীয় শিক্ষার্থীদের সাথে তাঁদের প্রাণের যোগাযোগ অনুপস্থিত। তবে প্রবাসী বিজ্ঞানীদের আসা-যাওয়া বৃদ্ধি করার প্রবণতাটা অত্যন্ত যুগোপযোগী, ওঁদের সাহচর্যে দেশীয় শিক্ষার্থীরা 'মধুমত্ত ভৃঙ্গসম' বিদেশ না ছুটে দেশে থেকেই উন্নত শিক্ষা পেতে পারে। এটাতেই বরঞ্চ মঙ্গল আরো বেশি। এতে করে গবেষণার দেশীয় আবহ সৃষ্টি সম্ভব হবে যা দেশীয় প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঠিক মান-সম্মত বিকাশে সত্যিকারের অবদান রাখবে।