ফিরে এসেই না দেখছি
একজন 'আত্মীয়' দাওয়াত খেতে ডাকলে
রাকা আর আমি
আমরা গোলাম
আমাদের খেতে দেওয়া হলো পায়েস
আমরা খেলাম
খেতে দেওয়া হলো ডিমের হালুয়া
আমরা খেলাম
খেতে দেওয়া হলো কোরবানির খাসির কলিজা
খাসির মগজ
খাওয়া বারণ খাওয়া বারণ
আমরা খেলাম
কোনো কথা না বলে কোনোই কথা না বলে
ফিরে এসেই না দেখছি এমন ফাসবিন্দারের নীরব, স্তব্ধ ছবি!
(আসলে মত হচ্ছে এই আমার যে সকল শব্দেই উদ্ধৃতিচিহ্ন বসবে, আর 'আত্মীয়' শব্দের সঙ্গে দুটো করে, কিন্তু চিহ্নের এমন জঙ্গল তৈরি হলে সেও এক বিচ্ছিরি ব্যাপার! পদ্য-রচয়িতা)
শুভ্রা গানে মজলাম
শুভ্রা গানে মজলাম, মরলাম
বেশ, তবে যা তোমার নাম
কেন তুমি বললে তাঁরই দান, তাঁর
কেন তুমি বললে তাঁরই দান, তাঁর
তোমার তো সুর ছিল, নিজেরই তো সুর, সব সব বোঝাবার!
পা ঝুলিয়ে
জনে জনে বলতে চেয়েছি
শোনাতে চেয়ে পায়ে ধরতে বাকি রেখেছি
খুন করতেও এমনকি
আমাকে বলেছিলেন চারজন
তিন হাজার ছত্রিশবার
তবে তারও আগে থেকে শুনে শুনে
শোনাসংখ্যা নিশ্চয় লক্ষের ঘরও পেরিয়ে থাকবে
তারপর আজই দেখতে পেলাম চিনদেশের সেই তাও-ও বলেছেন:
দুনিয়াব্যাপারে
কী করে গুরুগম্ভীর থাকি
উল্টাপাল্টা সমস্ত যেখানে
আর আমার কাজ কী
আর আমার কী গরজ
টিলায় উঠে গিয়ে পা ঝুলিয়ে বসেছি
মনেও কোরো না
মনেও কোরো না তোমরা কী বলবে তার ভাবনা আছে এই কবিতায়
একটু অপেক্ষা শুধু অক্ষরেরা নিয়ে চলে কথারা যা চায়
হাসান আজিজুল হকই ঠিক
হাসান আজিজুল হকই ঠিক। না আমাদের মৃত্যুদিন জানতে চাওয়াটা ঠিক, না আমাদের জন্মদিন জানাটা। কিন্তু তা হবার কোনো উপায়ই রাখছে না মানুষজন। সব হিসাব নিয়ে নিচ্ছে, কম্পিউটারে যাতে ভরে ফেলা যায়। 'মাপের মধ্যে' রাখা যায় মানুষটাকে। অথচ দেখুন না কবি রণজিৎ দাশের ব্যাপারটা, আজ দু হাজার আটে তাঁর বয়স বত্রিশ, না হয়তো বিয়াল্লিশই, অথচ তাঁর জন্ম উনিশশো ঊনপঞ্চাশে। অদ্ভুত কাণ্ড নয়?
বা, ধরুন সদ্যপ্রয়াত সংবাদ সম্পাদক বজলু(র রহমান) ভাইয়ের কথা। তাঁর জন্মতারিখের সঙ্গে প্রকৃত বয়সের কোথায় ছিল বলুন সঙ্গতি? প্রকৃত বয়স বলতে ছুটে বেড়াচ্ছিলেন যেমন তিনি…
এইরকমই সব। সঙ্গতি থাকছে না।
এ কথাটা হচ্ছে অন্য মূল কথাটির বাইরে। মানে যে কথায় সচরাচর বলা হচ্ছিল, সারারাত্র নৌকা বাইয়া, রাত পোহাইলে দেখি চাইয়া গো, আমার যেইখানের নাও সেইখানেতেই আছে…