শিল্প-সাহিত্যের সংবাদ

mamun_khan
Published : 29 Nov 2007, 05:24 PM
Updated : 29 Nov 2007, 05:24 PM

মুর্তজা বশীর

চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর জানালেন তিনি হাতের ইনফেকশনে ভুগছেন। হাতের দশটি আঙুলে ঘা দেখা দেয়ায় গত জুনের পর থেকে নতুন কোনো ছবির কাজে হাত দিতে পারেন নি। তবে তুলি ধরতে না পারলেও তিনি থেমে নেই। এখন তিনি প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় পূর্ব-ভারতের শিল্পীদের সর্ম্পকে প্রচুর পড়ছেন। মুর্তজা বশীরের বাংলা কবিতার ইংরেজি অনুবাদ নিয়ে একটি গ্রন্থ প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী বই মেলায়। ‍

~

রুবী রহমান

ইদানিং খুব কমই লিখছেন কবি রুবী রহমান। পারিবারিক নানা ব্যস্ততার কারণে লেখালেখির সাথে খানিকটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে তার। ডেঙ্গু আক্রান্ত ছেলেকেই এখন বেশি সময় দিচ্ছেন তিনি। ফাঁকে ফাঁকে পড়ছেন আবদুর শাকুরের গোলাপ সংগ্রহ, সেলিনা হোসেনের লারা। আর নতুন করে পড়ছেন বোর্হেসের একটি বই। লিখতে বসলে প্রথমত কবিতাই লেখার চেষ্টা করেন তিনি। তবে তা খুবই কম। গত তিন মাসে তার লেখা কবিতার সংখ্যা ৫টির বেশি হবে না। মাঝে মাঝে টুকটাক গদ্যও লিখতে হয় তাকে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ফরমায়েশি গদ্য লিখেছেন। এখন লিখছেন শামসুর রাহমানকে নিয়ে। নিয়মিত টেবিলে বসতে না পারায় লেখাটি শেষ হতে একটু সময় লাগবে বলে মনে করেন তিনি। আগামী মেলায় একটি কাব্যগ্রন্থ বের করার পরিকল্পনা করছেন রুবী রহমান। তবে শেষ পর্যন্ত গ্রন্থটি বের করতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারে তার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

~

সেলিম আল দীন

লেখক নাট্যকার শিক্ষক সেলিম আল দীনের নামের সাথে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরো দুটি নতুন পরিচয় – 'গীতিকার' ও 'সুরকার'। সেলিম আল দীন এখন গান লেখা ও সুর করা নিয়ে বলা যায় মগ্ন হয়ে আছেন। গানগুলো অচিরেই অ্যালবাম আকারে বাজারে আসবে। অ্যলবামের নামও ঠিক হয়ে আছে 'গদ্যবর্তী গান'। 'মৃত্যুর কোন অজানিত নিঃস্বর ঠিকানায় ওরা চলে যায়,' 'আমার হাতের তালুর ভাগ্যরেখায় অন্ধকার লুকিয়ে ছিল,' 'রাতের চাঁদের আলো নিরেট চিবুকে তোমার দোলাচল খেলা করে যায়' – এ ধরনের বেশ কয়েকটি গান দিয়ে সাজানো হবে অ্যলবামটি। গানগুলো গাইবেন ফাহমিদা নবী। সেলিম আল দীন জানান, আমার এই গানগুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকের। এর কথা ও সুর শ্রোতাদেরকে অভিনব ভাল লাগা দেবে।

বর্তমানে হাতের ফোঁড়ায় আক্রান্ত সেলিম আল দীন তার নাট্যচর্চা সম্পর্কে বলেন, 'সম্প্রতি আমি দুটো নতুন নৃত্যনাট্যের কাজ শেষ করেছি। এর একটার নাম 'উষা উৎসব' এবং অন্যটার নাম 'স্বপ্নরমণীগণ'।
ছবি: মোসাদ্দেক মিল্লাত

~

আজফার হোসেন

১১ বছর দেশের বাইরে থাকার ফলে লেখালেখিতে ছেদ পড়েছিল ড. আজফার হোসেনের। বললেন, সেটা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন। এখন তিনি বাংলা-ইংরেজি দুই মাধ্যমে প্রচুর লিখছেন। ৫টি বইয়ের কাজ নিয়ে তিনি ব্যস্ত। তিনটি বাংলায়, দুইটি ইংরেজিতে। বইয়ের বিষয় সাহিত্যের নতুন পঠন, সংস্কৃতি তত্ত্ব, মার্কসবাদের এলাকায় নতুন কাজ, সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ এবং বিশ্বসাহিত্য ও তুলনামূলক সাহিত্য। বইগুলো মেলায় বের হবে। বইয়ের কাজের পাশাপাশি ইংরেজি জার্নাল Melus-এর জন্যে একটি প্রবন্ধ তৈরি করছেন এখন। এছাড়া New Age পত্রিকায় সাপ্তাহিক কলাম এবং এনটিভি'র 'সাময়িকী' অনুষ্ঠান নিয়েও তাঁর কাটছে ব্যস্ত সময়। এনটিভি'র সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান 'সাময়িকী' প্রসঙ্গে তিনি বলেন 'অনুষ্ঠানটি এখনও নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে এগুচ্ছে। সাময়িকী অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ হচ্ছে সম্ভাবনাময় লেখকদের সামনে নিয়ে আসা এবং সংস্কৃতি নিরপেক্ষ নয়, সংস্কৃতি রাজনৈতিক' এ বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত করা। লেখালেখির পাশাপাশি আজফার হোসের নতুন একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন তৈরির কাজ নিয়ে খানিকটা ব্যস্ত। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে লড়াইয়ের জন্য তাত্ত্বিক এবং চিন্তাগত দিক থেকে সাপোর্ট দেয়াই হবে এই সংগঠনের মূল কাজ।
ছবি:মেলিসা হোসেন

mamunkhan69@gmail.com