ছুটপালক

sabyasachi_sanyal
Published : 13 Dec 2007, 05:52 PM
Updated : 13 Dec 2007, 05:52 PM

রোদে ও পারদে আচরণে
বিচরণে হাঁটাহাঁটি এত বেড়ে গেল
ভাবতে বাধ্য হচ্ছি
কতটা পান্থ আমি ঠিক কতটা পাদপ

এও ভাবছি
এই সব বিপথের কথা না ভাবাই ভাল
ফলে লক্ষ্য করলাম
ক্যাশিয়ার মেয়েটি
আমাকে সিগারেট দিতে দিতে
পিছন ফিরে
এক কামড়
কিটক্যাট খেলেন

আর খুব অমলিন হয়ে উঠলো বিশ্ব

ঠিকমত থাবড়ে না নিলে
পালকের বালিশও খটখট করে
এটা গতরাত পালকের বালিশে মাথা রেখে
মাথাই জেনেছে

বলাই বাহুল্য উপরের পঙ্‌ক্তিস্তবক
খানিকটা গভীর
ফলে বস্তুবাদ ও খানিকটা দ্বন্দ্বমূলক ভাবাবেগবাদ নিয়ে
ভাবতে থাকুন

আমি একটু জংগলে ঘুরতে ঘুরতে
লক্ষ্য করি
অবারিত
সংকোচসম্ভার
সৌজন্য
আর
সৌজন্যমূলক আমাদের চুপ থাকাথাকিউড়ে
বালসা কাঠের প্লেনে উড়ে
উড়ে
ভেসে
ভেসে
ল্যান্ড করছে না

আপনি পালক নিয়ে
ভাবতে থাকুন
বালিশ নিয়ে
ভাবুন
ঠিক ছোট উড়ানের নয়
একটু ঘুরে আসা
অল্প দূরে আসা
সাইবেরিয়ার কথা

আমি কফি খেয়ে আসি।

রোদে ও পারদে আচরণে বিচরণে
হাঁটাহাঁটি এত বেড়ে গেল
বুঝতে পারি না
কতটা পান্থ আমি কতটা পাদপ

খানিকটা কলকাতা খানিকটা বোলপুর
পুলিশ লাইন স্থায়ী ঠিকানা যতটা আমাকে
ততটাই আমি তারে খুঁজিয়া মরিনু

আমার পাসপোর্ট হাতে সরপঞ্চ হাসছেন
হেসে উঠছেন পুলিশ লাইনের দমকা বটগাছ

ছবি

সোরেনের

পেন্সিল রোদে আচ্ছন্ন
টিপছাপ

এত ঘুরলে যা হয়
বিরতির সংজ্ঞাটুকু
দীর্ঘ দীর্ঘায়ত
ফলে ওই সংজ্ঞার ভেতরেই খানিকটা
জিরিয়ে নেয়া
ফলে দীর্ঘরংয়ের ভাঁজে খানিকটা লুকিয়ে
রইলো খোলা ছাদ

কলকাতার অরণ্যকাগজ কল্যাণীর
নিমগাছে
রগড়ে ঘষে
বিরতির সংজ্ঞার ভেতর বসে আঁকলেন
ডেভিড শিরো

(প্রসঙ্গত শিরো এক লাল আপাচে
মিলাউকি থেকে এই মাত্র একথা জানালেন
তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা)

আমি এখন ছবি নিয়ে ভাবছি
সংজ্ঞা নিয়েও
মনে রাখবেন বিরতি যেহেতু নেই
বিরতির সংজ্ঞার ভেতরে বসেই এই এত ভাবাভাবি

–ভাবছি শুধু সোরেন নন
ছবি মাত্রেই নিশ্চিত নিরাপত্তাভিলাষী
আর যা কিছু অধরা তারি সংজ্ঞা শুধু বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়
সমানুপাতিক ভাবে নিরাপত্তাও

আমি এই মুহূর্তে নিজের কোন স্থায়ী ঠিকানা
দিতে চাইলাম না।

আপনি এই সব নিয়ে ভাবতে থাকুন

আমি ও আমার ছবি ঘুরে আসি–

এই বৃদ্ধ অগাস্টে বিদেশের জমা ঘাম
স্বদেশের মাটিতে গলালাম
আর সমগ্র হাজরায় নারিকেলবীথি উঠে গেল

রাসবিহারিতে নিজের সাথে কথা বলতে বলতে
তখনও বোলপুরে বৃষ্টি আসেনি

রাসবিহারিতে আপনার সাথে কথা বলতে বলতে
বোলপুরে বৃষ্টি নামলো

ঠিক এই অসময়ে
মিঃ মেসবা আলম, নতুন ওটাওয়ায় ফার্মাসিতে
ডুব দিয়ে স্যালভিয়া তুলে আনছেন–

এ পর্যন্ত কোন রং ছিল না

স্যালভিয়া পরবর্তী বর্ণাঢ্য দারুকলে
স্পষ্ট দেখলাম
বর্ণান্ধ মানুষের আনা গোনা খুব বেড়ে গেল

মানে, এবার তো একটু লিরিকের প্রয়োজন হয়
খানিকটা প্রয়োজন লিরিকেরও হয়
ফলে
খুব রবিময় সন্ধ্যা ও বৃষ্টি
যুগপৎ
বোলপুরে এখনও বইছে

ক্যামাক স্ট্রীটের ট্রান্সফর্মার ফাটিয়ে
গতরাতের কালো গাড়ি
আজ এসে এখানে থামলো।

আপনি কালো গাড়িটির রূপক রূবরুঁ নিয়ে
কপাল ঘামান–

আমি ততক্ষণ একটু হাতি বিষয়ক চিন্তায় নিমগ্ন হই

মানে আমি দেখি–
শ্যামদেশে, শাদা ও শুদ্ধ
যে হাতির মিথ
সেই হাতি আমারি বসার ঘরে
ঋজু ও ঋদ্ধ
ইবোনি শো কেসে
শ্যাম দুটি কুকুরের মাঝে
স্বতঃ প্রতিভাত

এইখানে এসে থেরাপিস্ট বললেন–টেক অ্যানাদার ট্যুর
আমি খানিকটা সাদর আলোয় ডিট্যুর সারলাম
মানে খানিকটা অনুপ্রাসের চালে
ভ্রমে ও ভ্রমরে
বীতহংক ঝিমঝিম গাড়ির প্রতিভা
নিজেরি বনেটে তাল ঠুকে টপ্পা ধরলেন
মানে
এই একটু খুঁটিনাটি, এই আয়ুঙ্কাল
মানে যদি বেতো গাড়িতেই এই ঠুকুর ঠাকুর
তবে ঠিক কোন স্মরণের বালুকাবেলায়
আমার পদচ্ছাপ
মানে ঠিক এইখানে এসে
আলো ও অন্ধকার দু'ই জাস্ট ফিকে হয়ে গেল

বস্তুত আমি তো প্রণত থাকি আমারই জুতোর কাছে

পদশব্দ পড়তে পড়তে তবেই না এতটা জেনেছি–
গভীরতরতায় এসে অণুরণন মরে যায়
ফলে খুব ভাসা ভাসা ভাবি
রোদে ও পারদে
আচরণে বিচরণে
কতটা পান্থ আমি কতটা পাদপ

স্টকহোম, কলকাতা, কল্যাণী, বোলপুর; ২১ আগস্ট–১১ নভেম্বর

বন্ধুদের কাছে লেখাটি ইমেইল করতে নিচের tell a friend বাটন ক্লিক করুন: