জীবনের তাগিদে অষ্টম শ্রেণির পর পড়া হয়নি শুভ চন্দ্রর। পোশাক কারখানায় ঘাম ঝরিয়েও খুঁজে পেলেন শিক্ষকতার পথ। নারায়ণগঞ্জে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে আসন পেতে গরিব শিশু পড়ান উনি। এ কাজে সুনামের তিলক জুটেছে তার। শিশু সাংবাদিক নাজমুল হাসান ইমনের প্রতিবেদন
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুদের স্বাবলম্বী করায় কাজ করছে নারায়ণগঞ্জের এক স্কুল। নিজেকে সামাল দেওয়াই শুধু নয়, জীবনে যেন কাজ করে খেতে পারে তারা সে চেষ্টাও করছেন। সুইড বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের অনেক শিশু নানান প্রতিষ্ঠানে কাজও করছে বলে জানান শিক্ষকরা। শিশু সাংবাদিক নাজমুল হাসান ইমনের প্রতিবেদন
বাবা-মায়ের সাফসুতরের প্রথাগত পেশা ছেড়ে অন্য জীবন গড়তে পড়াশোনায় ফিরছে হরিজন শিশুরা। ‘মেথর’ নামটি ঘোচাতে তাদের অনেকে স্নাতকও পাশ করেছে। নারায়ণগঞ্জে তাদের পল্লীর প্রাথমিক স্কুলে বেড়ে চলেছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। পাশ করে অন্য স্কুলে ভর্তি হলেও দারিদ্র শতভাগ শিশুকে ধরে রাখতে পরাছে না এ পথে। শিশু সাংবাদিক নাজমুল হাসান ইমনের প্রতিবেদন
সুবিধাবঞ্চিত হরিজন শিশুদের না আছে খেলা জায়গা না আছে পুষ্টিকর খাবার। ছোট্ট এক ঘরে বাবা-মা ভাইবোন নিয়ে তাদের বাস। এমন চিত্র নারায়ণগঞ্জের টানবাজারের হরিজন মহল্লায়। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকাদের খবর জানাচ্ছে শিশু সাংবাদিক গোলাম মোরশেদ আসেক
দেশের বেশ কিছু স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করেছে সরকার। চির চেনা চক-ডাস্টার-ব্ল্যাকবোর্ডের ক্লাসরুমের চেহারা গেছে বদলে।এতে পাঠদানে এসেছে পরিবর্তন। পড়া বোঝাও সহজ হয়েছে বলে মনে করছে শিশুরা । নারায়ণগঞ্জের এক স্কুল ঘুরে শিশু সাংবাদিক নাজমুল হাসান ইমনের প্রতিবেদন
ক্লাসের ভিড়ভাট্টা পড়া বোঝায় বাধা বলছে কজন শিক্ষার্থী। নারায়ণগঞ্জের স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা এখন কোচিং সেন্টারমুখী। তবে পড়ার চাপকে কারণ ভাবছেন এক প্রধান শিক্ষক। শিশু সাংবাদিক গোলাম মোরশেদ আসেকের প্রতিবেদন।
নারায়ণগঞ্জে অনেক শিশু নানা কাজে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে। জেলা শহরের শহিদ মিনার, রেল স্টেশনসহ নানা জায়গায় তাদের নানা কাজ করতে দেখা যায়। লেখাপড়া করতে চাওয়া এসব শিশুর অনেকেই ঝরে পড়ছে অভাবের কারণে। আরজু মনি দৃষ্টির প্রতিবেদন।
ভালো ফলের প্রতিযোগিতায় হারিয়েছে শিশুর সব সময়। স্কুল, কোচিং, স্কুলের পড়া করতেই সকাল থেকে রাত গড়িয়ে যায়। অন্য দিকে মন না ঘোরে তাই পাঠ্যপুস্তকের বাইরে অন্য কোনো বই কিনে দেন না অভিভাবকরা। সাবেরা আক্তার বুশরার প্রতিবেদন।
নারায়ণগঞ্জে অনেক স্কুলে পাঠাগার থাকলেও তা সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। স্কুলের এসব পাঠাগারে দু-একজন শিক্ষার্থী ঢু দেয় মাত্র।বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরই এসব পাঠাগার সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। তবে ব্যতিক্রম স্কুলও আছে। শিশু সাংবাদিক হুমিয়া আক্তারের প্রতিবেদন।
রেললাইনের ধারের বস্তির শিশুরা ঝুঁকির মধ্যে বড় হচ্ছে। দুর্ঘটনা ছাড়াও শিক্ষা, খাবার উপযুক্ত পানিও মেলে না তাদের। কখনো স্কুলে গেলেও ঝরে পড়ে দ্রুতই। অভাবের তাড়নায় টোকাই হচ্ছে কিংবা কোনো কাজে নামছে তারা।